কুড়িগ্রামের উল্লেখযোগ্য বাজারসমুহ

কুড়িগ্রামের উল্লেখযোগ্য বাজারসমুহ 

কুড়িগ্রাম জেলা, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি সুন্দর শহর। এই শহরে নানা ধরনের হাট বসে, যা স্থানীয় লোকদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পোস্টে আমরা কুড়িগ্রামের কিছু বিখ্যাত হাটের সম্পর্কে জানব।

কুড়িগ্রাম পৌরবাজার (নতুন বাজার)

কুড়িগ্রাম পৌরবাজার (নতুন বাজার)

কুড়িগ্রাম শহরের একদম প্রাণকেন্দ্রে তথা শাপলা এবং কলেজ মোড়ের মাঝামাঝি যায়গায় পৌরবাজার অবস্থিত। এটি নতুন বাজার নামেও বহুল পরিচিত! কবে থেকে এ বাজার চালু রয়েছে তা নিশ্চিত নই আমরা তবে অন্ততপক্ষে ৯০ এর দশকের সময় থেকেই এটি চলমান। মূলত গ্রোসারী পণ্য, ফল, ডিম, সবজি, কাঁচাবাজার, মাছ, গরু এবং মুরগী সবই পাবেন এই বাজারে।

  • শনি এবং মঙ্গলবার হাট বসে। ঐদিন স্পেশাল অনেক আইটেমই পাবেন।
  • ঈদের সময় গরুর হাট বসে কুড়িগ্রাম সরকারী স্কুল মাঠে।
  • সবজি কিনতে চাইলে বিকেলে/সন্ধ্যায় আসবেন। অনেক কৃষক নিজেরাই বাইরে বসে তাদের সবজি বিক্রি করেন।

কুড়িগ্রাম জিয়া বাজার (পুরাতন বাজার)

দাদামোড় পার হয়ে কিছুদুর আগালেই এই বাজার চোখে পরবে যা ১৯৮০ সালে প্রতিষ্টিত। মূলত জিয়া বাজার হচ্ছে পাইকারী কেনাকাটার জন্য। এখানে ডিমের/মুরগীর/পানের আড়তের দেখা মিলবে। যারা পরিবারের জন্য এক সপ্তাহে এক বা দুইদিন বাজার করেন তাদের জন্য এটা উপযুক্ত একটি বাজার। আপনাকে অবশ্যই সকাল ১০ টার দিক আসতে হবে, দুপুরের মাঝেই এই বাজারের সবজির পাইকারী কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যায়।

কুড়িগ্রাম জিয়া বাজার (পুরাতন বাজার)
  • ডিম কিনলে ৩০ টা করে কিনতে পারবেন সুলভ মুল্যে। 
  • গ্রোসারী আইটেমগুলোও বড় দোকানে বেশ ছাড়ে পেয়ে যাবেন যদি সাপ্তাহিক/মাসিক বাজার করেন। 
  • মুরগীর দাম তুলনামূলক কম (পৌরবাজারের চেয়ে) 
  • সবজি বা আলু কিনলে ২.৫ কেজি/ ৫ কেজি হিসেবে কিনবেন তাহলে কমে পাবেন।

দুর্গাপুর হাট

শুক্রবার ও সোমবার, দুর্গাপুর হাট জমজমাট হয়ে ওঠে। তাজা সবজি, ফল, মাছ, মাংস, মসলা, এবং নানা ধরনের ঘরোয়া প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সমাহার ঘটে এই হাটে। বিশেষ করে ঈদের সময়, কুড়িগ্রামের সবচেয়ে বড় গরু-ছাগলের হাট হিসেবে খ্যাতি রয়েছে দুর্গাপুর হাটের। হাজার হাজার মানুষ এখানে জড়ো হয় তাদের পছন্দের পশুটি খুঁজতে। হাটের চারপাশে ছোট ছোট দোকানে নানা ধরনের খাবারও পাওয়া যায়।

যাত্রাপুরের গরুর হাট

যাত্রাপুরের গরুর হাট গরু-ছাগলের জন্য বিখ্যাত। শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসলেই এই হাটে গরুর আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। চর থেকে সরাসরি আনা হাঁস-মুরগিও এখানে পাওয়া যায়। রিজনেবল দামে তাজা মাংস কিনতে চাইলে এই হাটটিই সেরা জায়গা। তবে দুপুরের আগেই হাটে গেলে ভালো পণ্য পাওয়া যায়।

কাঁঠাল বাড়ি হাট

শুক্রবার ও সোমবার কাঁঠালবাড়ি হাটে নানা ধরনের সবজি, ফল, এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। এই হাটটি তার স্বাদিষ্ট স্থানীয় খাবারের জন্যও পরিচিত। হাটের আশেপাশে অনেক ছোট ছোট দোকানে নানা ধরনের স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়।

মোগলবাসা হাট

রবিবার ও বুধবার মোগলবাসা হাটে নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। ঈদের সময় এখানেও গরু-ছাগলের হাট বসে। এই হাটটি তার জমজমাট পরিবেশের জন্য পরিচিত। হাটের চারপাশে অনেক ছোট ছোট দোকানে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়।

কুড়িগ্রামের হাটগুলো স্থানীয় লোকদের কাছে শুধুই কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং এগুলো সামাজিক মেলবন্ধনের কেন্দ্রও। এই হাটগুলো ঘুরে আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা এবং মানুষের সহযোগিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

Related Post