Rajarhat Upazila

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান, যা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়।

উপজেলা পরিচিতি

রাজারহাট উপজেলা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন

এই উপজেলাটি জেলা সদর থেকে পশ্চিম দিকে  অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে ফুলবাড়ী উপজেলা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে উলিপুর উপজেলা ও রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, পশ্চিমে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলা।

এই উপজেলার মোট আয়তন ১৬৫.৫৯ বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যার উপাত্ত

  • জনসংখ্যা : মোট- ১,৯২,৬৮৯ জন । পুরুষ- ১,০০২,২৪ জন, মহিলা- ৯০,৪৬৫ জন ।
  • জনসংখ্যার ঘনত্ব : ৯৪৫জন/বর্গ কি.মি.।
  • ভোটার সংখ্যা : মোট- ১,০৪,২২৮ জন । পুরুষ- ৫২,০১৫ জন, মহিলা- ৫২,২‌১৩ জন 

প্রশাসন সংক্রান্ত তথ্য

সংসদীয় এলাকার সংখ্যা:

১টি এলাকা রয়েছে ।  নাম ও এলাকা:  কুড়িগ্রাম-২ ( রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী) 

পৌরসভার সংখ্যা:

কোন পৌরসভা নেই। 

ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা:

মোট ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ।

  1. ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন
  2. ছিনাই ইউনিয়ন
  3. রাজারহাট ইউনিয়ন
  4. চাকিরপশার ইউনিয়ন
  5. বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন
  6. উমরমজিদ ইউনিয়ন
  7. নজিমখাঁন ইউনিয়ন

গ্রামের সংখ্যা:

রাজারহাট উপজেলায় মোট ১৮০টি গ্রাম রয়েছে 

শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য

 এখানে রয়েছে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত নানা প্রতিষ্ঠান, যা গড়ে তুলছে জ্ঞানপিপাসু নতুন প্রজন্ম। 

  • শিক্ষার হার: ৫৭%
  • কলেজ: ১৪টি ।
  • উচ্চবিদ্যালয়: ৩২টি ।
  • মাদ্রাসা: ২৩টি ।
  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়:
  • ৪৯টি ।
  • বেসরকারি প্রাথমিক
  • বিদ্যালয়: ৬৭টি ।

অর্থনীতি সংক্রান্ত তথ্য

রাজারহাট উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। তাছাড়া ওখানে ছোট ও মাঝারি ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

কৃষি

  • মোট আবাদী জমি: ৩০১০৯.৩০ একর
  • অর্থকরী ফসল: ধান, গম, আলু, পাট, তামাক, সরিষা, সুপারি, বাঁশ, আখ, ভুট্টা প্রভৃতি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • পাকা রাস্তা: ১৫৯.৩২ কি. মি
  • কাঁচা রাস্তা: ২৯৮.৩৪ কি. মি.

দর্শনীয় স্থান সমূহের তালিকা

রাজারহাট উপজেলা তার ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন ও সাংস্কৃতিক স্থান, যা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়।

ঠাঁটমারি বধ্যভূমি

রাজারহাট উপজেলার ঠাঁটমারি গ্রামে অবস্থিত ঠাঁটমারি বধ্যভূমিটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। এই বধ্যভূমিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।

অচিন গাছ

রাজারহাট উপজেলার চন্দ্রকাঁটা গ্রামে অবস্থিত অচিন গাছটি একটি বিশাল বটগাছ। এই গাছটির বয়স প্রায় ৫০০ বছর বলে ধারণা করা হয়। স্থানীয়দের কাছে এই গাছটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

পাঙ্গা জমিদার বাড়ি

রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত পাঙ্গা জমিদার বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই জমিদার বাড়িটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল। জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পাঙ্গা রানী লক্ষ্মীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশেই রয়েছে। বর্তমানে টিকে আছে শুধু ভাঙ্গা ইট-পাটকেল এবং একটি শান-বাঁধা পুকুর। এছাড়া প্রায় অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে পাঙ্গা জমিদারের কাচারিঘর।

চান্দামারী মসজিদ

রাজারহাট উপজেলার চান্দামারী গ্রামে অবস্থিত চান্দামারী মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

মেকুরটারী মসজিদ

 রাজারহাট উপজেলার মেকুরটারী গ্রামে অবস্থিত মেকুরটারী মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদটি ১৭ শতকে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

ব্যাপারী পাড়া শাহী মসজিদ

রাজারহাট উপজেলার ব্যাপারী পাড়া গ্রামে অবস্থিত ব্যাপারী পাড়া শাহী মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই মসজিদটি ১৮ শতকে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা বিল

রাজারহাট উপজেলার একটি বিশাল বিল। এই বিলে নানা প্রজাতির পাখি ও জলচর প্রাণী বাস করে। বিলের চারপাশে সবুজ মাঠ ও খেজুরের বাগান রয়েছে।

কোটেশ্বর শিব মন্দির

 রাজারহাট উপজেলার কোটেশ্বর গ্রামে অবস্থিত কোটেশ্বর শিব মন্দিরটি একটি ঐতিহাসিক মন্দির। এই মন্দিরটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

চতুর্ভুজ শিব মন্দির

রাজারহাট উপজেলার চতুর্ভুজ গ্রামে অবস্থিত চতুর্ভুজ শিব মন্দিরটি একটি ঐতিহাসিক মন্দির। এই মন্দিরটি ১৮ শতকে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।