
চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু
- by Touhid
- Tourist Places
- 2 months ago
- 196 views
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা, যা এই দুই উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে। অবশেষে সৌদি সরকারের অর্থায়নে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। যার নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
Table of Contents
হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর গুরুত্ব :
হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের প্রতিফলন। এটি শুধু একটি সেতু নয়; বরং এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নিচে এর গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি
হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর মাধ্যমে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে।
নদী পারাপারের জন্য নৌকার ওপর নির্ভরশীলতা কমবে, ফলে যাতায়াত সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হবে।
উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হবে।
এসব অঞ্চলের মানুষ মাত্র ৪ ঘন্টায় ঢাকা যেতে পারবে, যেখানে সাধারনত সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টা।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
কৃষিজ পণ্য দ্রুত বাজারজাত করা সম্ভব হবে, যা কৃষকদের লাভবান বানাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, বিশেষ করে চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ অঞ্চলে নতুন বানিজ্যিক বাজারের সুযোগ তৈরি হবে।
পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে, কারণ এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক আসতে পারেন।
সামগ্রিক সামাজিক ও জীবনযাত্রার উন্নয়ন
সেতুটি চালু হলে দুই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সামাজিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, কারণ সেতুর আশেপাশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটবে।
সর্বোপরি, হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে এবং উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ইনশাহ-আল্লাহ।
Related Listing
প্রথম আলো চর, ঘোগাদহ, কুড়িগ্রাম
- 4 weeks ago
- Tourist Places
ধরলা সেতু-২, কুলারঘাট ফুলবাড়ী
- 1 month ago
- Tourist Places
কুড়িগ্রাম ইকো ফার্ম / পার্ক
- 1 month ago
- Tourist Places