কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত পাঙ্গা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জমিদার বাড়ি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
Table of Contents
অবস্থান
এই জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে অবস্থিত।
ইতিহাস:
কুচবিহার রাজা নর-নারায়ণের মৃত্যুর পর পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে অনিরুদ্ধ পাঙ্গা রাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। অনিরুদ্ধই পাঙ্গা রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। প্রত্যন্ত অবস্থানের কারণে পাঙ্গা রাজ্য তেমন খ্যাতি লাভ করতে পারেনি এবং তাদের ইতিহাসও সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। জমিদাররাণী লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর দত্তক পুত্র দেবেন্দ্র নারায়ণ ‘কোঙর’ উপাধি ধারণ করে ইংরেজ আমলে জমিদারী পরিচালনা করেন। তাঁর সময়েই জমিদারীর অবনতি শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে জমিদার বাড়িটি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
বর্তমান অবস্থা:
বর্তমানে পাঙ্গা জমিদার বাড়ির অধিকাংশ অংশই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ভাঙা ইট-পাটকেল এবং একটি শান-বাঁধা পুকুর ছাড়া আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। তবে জমিদারদের কাচারিঘরটি এখনও প্রায় অক্ষত অবস্থায় টিকে আছে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত, পাঙ্গা জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাংলার জমিদারী সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন। ধ্বংসস্তূপের ভেতরেও লুকিয়ে আছে অতীতের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের ঝলক।
পাঙ্গা জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এর বর্তমান অবস্থা দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
কিভাবে যাবেন?
কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি রিকশা বা অটোরিকশায় করে রাজারহাট যেতে পারবেন। ভাড়া লাগবে ১০০-১৫০ টাকা।