এখন থেকে Kurigram Eye Hospital এ ১৫০ টাকা টিকিট কেটে চোখের চেক আপ বা কনসালটেন্সি নিতে পারবেন। সেবা ক্লিনিক পার হয়েই এস এ পরিবহনের উপর তলায় এর অবস্থান।
কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল কেবল একটি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, এটি কুড়িগ্রামসহ আশপাশের এলাকার হাজারো মানুষের জন্য আশার আলো। চোখ আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। কিন্তু অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, সচেতনতার অভাব কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক মানুষ সময়মতো চোখের চিকিৎসা নিতে পারেন না। এই জায়গায় কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করে আসছে।
কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত নার্সরা কাজ করেন। এখানে চোখের সাধারণ সমস্যা যেমন—চোখে জ্বালা, পানি পড়া, এলার্জি, কম দেখা—থেকে শুরু করে ছানি, গ্লুকোমা, চোখের ইনফেকশনসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ বৃন্দের তালিকাঃ
ডাঃ মোঃ নিয়ামুল হাসান
এম.বি.বি.এস, ডিও (বি এস এম এম ইউ)
মাইক্রোসার্জারী আই ও এল ফেলো
চক্ষু বিশেষজ্ঞ, আই ও এল সার্জন
কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম
———————————– সাক্ষাতঃ প্রতি রবি থেকে বুধবার সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান
এম.বি.বি.এস, ডিও (বি এস এম এম ইউ)
ফেলোশিপ ইন কার্নিয়া এন্ড এন্টেরিয়র সেগমেন্ট
(ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল)
সহকারি অধ্যাপক ও কনসালটেন্ট
কার্নিয়া বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন
কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম
———————————– সাক্ষাতঃ প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।
———————————– সাক্ষাতঃ প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা।
ছানি অপারেশনে বিশেষ সুনাম
এই হাসপাতাল ছানি অপারেশনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রতি বছর অসংখ্য রোগী সফলভাবে ছানি অপারেশনের মাধ্যমে আবার নতুন করে দৃষ্টি ফিরে পান। অনেক সময় বিনা খরচে বা স্বল্প খরচে এই অপারেশন করা হয়, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য বিশাল সহায়তা।
সচেতনতা ও সমাজসেবা কার্যক্রম
চিকিৎসার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। চোখের যত্ন, নিয়মিত পরীক্ষা, শিশুদের চোখের সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ক্যাম্প ও কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে করে মানুষ আগেভাগেই চোখের সমস্যার সমাধান নিতে আগ্রহী হয়।
শেষ কথা
কুড়িগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল সত্যিকার অর্থেই কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ। এটি শুধু চোখের চিকিৎসাই নয়, মানুষের জীবনে আলো ফিরিয়ে আনার কাজ করে যাচ্ছে প্রতিদিন। ভবিষ্যতেও এই হাসপাতাল আরও উন্নত সেবা নিয়ে কুড়িগ্রামসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের মানুষের পাশে থাকবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।