বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজধানী, কুড়িগ্রাম জেলায় দ্বিধারা নদীর দুই তীরকে সংযুক্ত করেছে ধরলা সেতু। ১৯৮২ সালে নির্মিত এই সেতুটি মাত্র ১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ হলেও স্থানীয় অর্থনীতিতে ও পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ধরলা সেতু নিজেই একটি পর্যটন আকর্ষণ। নদীর দুই তীরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এখানে অনেক পর্যটক আসেন। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এই সেতুর দৃশ্য অপরূপ সুন্দর হয়। সন্ধ্যায় সেতুটি আলোকিত হয়ে উঠলে একটি মায়াময় পরিবেশ সৃষ্টি করে।
Table of Contents
ঠিকানা:
পর্যটন আকর্ষণ:
১. নদীর মনোরম দৃশ্য:
ধরলা সেতু থেকে নদীর দুই পাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সবুজ ধানক্ষেত, লালচে গোধূলির আভায় ঝলমল নদী, পাখির কলকাকলি – এই দৃশ্যে মন মাতোয়াতে বাধ্য।
২. সেতু দৃশ্যপট:
সেতুর নির্মাণ কৌশল এবং দীর্ঘ দৃশ্যপট অবলোকন করাও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। স্থানীয়রা প্রায়ই বিকেলের ধোঁয়াটো আলোয় সেতুর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসে।
৩. বোট ভ্রমণ:
নদীতে নৌকা ভ্রমণ করে ধরলা সেতুর নিচ থেকে এক অন্যরকম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। স্থানীয় মাছুয়াদের জীবনযাত্রা দেখা ও তাদের সাথে কথা বলার অভিজ্ঞতাও নিতে পারেন।
৪. পিকনিক স্পট:
সেতুর আশেপাশের এলাকা পিকনিক করার জন্য জনপ্রিয়। পরিবার নিয়ে এসে প্রকৃতির সাথে মিলে আনন্দে সময় কাটাতে পারেন।
৫. স্থানীয় সংস্কৃতি:
ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খেলা, গান, নাচ ও খাবার উপভোগ করে স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারেন।
কিভাবে যাবেন?
ধরলা সেতুতে যাওয়ার উপায় অনেক, তবে আপনার অবস্থানের উপর নির্ভর করে কোনোটি সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। নিচে কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো:
গাড়িযোগে:
আপনি যদি কুড়িগ্রাম শহরে থাকেন, তাহলে সরাস্তে ধরলা সেতুর দিকে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারেন। Bazar Rd ধরে উত্তরে গিয়ে Kurigram-Bhurungamari Rd/Z5622 এর সাথে মিলিত হয়ে চলতে থাকুন। মোটামুটি ৭ মিনিটের মধ্যে সেতুতে পৌঁছানো যাবে। গুগল ম্যাপসে রুটটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
রিকশাযোগে:
কুড়িগ্রাম শহর থেকে রিকশাযোগেও ধরলা সেতুতে যাওয়া যায়। আপনার অবস্থানের জায়গা থেকে যে কোনো রিকশাওয়ালাকে সেতু পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে পারেন। ভাড়া আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া ভালো।
রিকশাযোগে:
কুড়িগ্রাম শহর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় বাসে করে ধরলা সেতুর কাছে যেতে পারেন।